
২০১৪ সালের পহেলা ডিসেম্বর, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ওয়ানডে। ইতিমধ্যেই ৪-০ তে সিরিজে এগিয়ে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের উদ্দেশ্যেই মাঠে নামে বাংলাদেশ। আর সিরিজ জয় হয়ে গেছে বলে শস্তিতে দল,তাই একটু পরিক্ষা নীরিক্ষা চালায় তৎকালিন হেডকোচ হাতুরুহিংসে এবং টিম ম্যানেজমেন্ট। হালকা পাতলা গড়নের বামহাতি সৌম্যকে অভিষেক করায় দল।শুরুতে তার নাম নিয়ে হয়েছে অনেক পরিক্ষা-নীরিক্ষা।কারে কাছে সুমাইয়া,কারো কাছে আবার সৌমিয়া সরকার।অভিষেক ম্যাচে ১১ নাম্বার জার্সি পরে খেলা সৌম্য ব্যাটিংয়ে আসেন ১ উইকেট যাওয়ার পরে।অভিষেক ম্যাচে কিছু নান্দনিক শটে মুগ্ধ করে টিম ম্যানেজমেন্টকে। অনুর্ধ ১৯ চলে অসাধারণভাবে প্রমান করার পর অভিষেক ম্যাচে ২০ রান করে জায়গা করে নেন ২০১৫ বিশ্বকাপ দলে।১ ম্যাচ খেলা তরুনকে এমন মঞ্চে নেওয়ার জন্য কম সমালোচনা হয়নি।কিন্তু সব আলোচনার জবাব তিনি বিশ্বকাপের মঞ্চেই দিয়েছিলেন ব্যাট হাতে।বিশ্বকাপেই পান নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি।ইংল্যান্ড এর বিপক্ষে ৪০ এবং নিউজিল্যান্ড এর বিপক্ষে ৫০+ সহ পুরো বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে করেন ১৭৫ রান।এরপর দেশের মাটিতে পাকিস্থানের বিপক্ষে ১২৭*, ভারতের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি এবং সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৮ ও ৯০ রান নিয়ে ২০১৫ সালে ১৫ ম্যাচে ৫১ গড়ে করেছেন ৬৭২ রান।সাউথ আফ্রিকা সিরিজে হয়েছিলেন সিরিজ সেরা।
এরপর ২০১৬-১৭ সালটা তারজন্য ছিলো কালোদিন।ফর্ম টা যে হারিয়ে গেলো আর ফিরে পাচ্ছিলো না।২০১৬ সালে ৪ ম্যাচে ৪২ ও ২০১৭ সালে ১২ ম্যাচে করেন মাত্র ২৪৩ রান।কিন্তু ২০১৮ তে এসে কিছু টা ফর্ম এর ছোয়া পাচ্ছেন তিনি।বিসিএল,এ দল,বিসিবি একাদশ সব জায়গায় নিয়মিত রান পাছেন।এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা শেষ ওয়ানডেতে পেয়েছেন শতকের দেখা।এখন দেখা যাক এই ফর্ম ধরে রেখে আবার পুরনো সৌম্যকে ফিরে পাওয়া যায় কিনা।
আজ ১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের এই দিনেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলেছিলেন তিনি।আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪ বছর পুরন হয়েছে সৌম্য সরকারের।