
আজ বৃহস্পতিবার | ২৬ মে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ২৪ শাওয়াল ১৪৪৩ হিজরি | বিকাল ৩:১৩
চাঁদে বসে যে বুড়ি অবিশ্রান্ত সুতা কেটে চলে সে অামাদের ছেলেবেলার অতি চিনা জানাদের একজন।তার চরকা কাটা দেখতে দেখতে অার ”শোলক বলা কাজলা দিদি”র শ্লোক শুনতে শুনতে অামাদের অনেকের শৈশব কেটেছে।
খালি চোখে চাঁদের গায়ে যে ছোপ ছোপ কালো দাগ দেখা যায় সে সব দাগ দেখেই মূলত চরকা কাটা বুড়ির কাহিনীর জন্ম হয়েছে।
প্রায় চারশো বছর অাগে মানুষ প্রথম দূরবীনের ভেতর দিয়ে চাঁদে তাকায়।তখন চাঁদের কালো দাগগুলোকে তাদের কাছে সমুদ্র বলে মনে হয়। তাই এদের একেকটার নাম রাখা হয় বেশ কাব্য করে, যেমন- ” প্রশান্তির সাগর”, ” রঙধনু উপসাগর “, ” ঝরের সমুদ্র ” ইত্যাদি। এসব নাম অাজও টিকে অাছে।তবে অাজ অামরা জানি চাঁদে কোন সমুদ্র নেই।
পৃথিবী থেকে খালি চোখে চাঁদের উপরিভাগ যতই মসৃণ দেখাযাকনা কেন,অাসলে চাঁদ বেশ রুক্ষ ও পর্বতবহুল।চাঁদে রয়েছে পর্বতমালা,উপত্যকা, এবং অাগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের মতো অসংখ্য ছোটবড় গর্ত।এসব গর্তের সংখ্যা কম করে হলেও ৩০ হাজারের মতো হবে।চাঁদে সবচেয়ে বড় যে অাগ্নেয়গিরির জ্বালামুখটি রয়েছে এর নাম ক্লাভিউস(clavius)।এটি প্রায় ২০ হাজার ফুট উচুঁ একটি গোলাকার মৃত অাগ্নেয়গিরি। অামরা যাকে চাঁদের বুড়ি বা চাঁদের কলঙ্ক বলি – মূলত এগুলো হচ্ছে চাঁদের বুকের মৃত অাগ্নেয়গিরি অার অগনিত গর্ত।এগুলো কোন সমুদ্র নয়।এসব গর্তে সূর্যের অালো ঠিকমত পড়েনা( চাঁদের কোন অালো নেই, চাঁদ সূর্যের অালোয় অালোকিত হয়)বলেই পৃথিবী থেকে স্থানগুলোকে কালো দেখায়।চাঁদে কোন বুড়িও নেই, সমুদ্রও নেই।