
আজ মঙ্গলবার | ১৯ জানুয়ারি ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৫ মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২ হিজরি | রাত ১:৪০
দোহা কর্ণেস পাড়
গত সন্ধ্যায় দোহা কর্ণেশ পাড়, নুজুম গ্রুপ আয়োজিত নুজুম লাল চা সাহিত্য আড্ডার তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জনাব, সি এম হাসান ( প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেন্ডন্স সমবায় সমিতি কাতার) এর সঞ্চালনায় হাফেজ মাও: মুহাম্মদ হাছান এর কণ্ঠে পবিত্র কোরআন তিলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়, হাফিজুর রহমান নাহিদ (ডিরেক্টর এডমিন ও প্ল্যানিং নুজুম গ্রুপ) এর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাহিত্য প্রোগ্রাম।
প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন নুজুম গ্রুপের সম্মানীত ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব চৌধুরী হাসান মাহমুদ ।তিনি তার বক্তব্যে সাহিত্য প্রোগ্রামের গুরত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা করেন, এবং তিনি বলেন এই সাহিত্য আড্ডার মাধ্যমে প্রবাসিদের থেকে প্রতিভাবানদের প্রতিভাকে খুঁজে বের করা যাবে এবং সকলের মধ্য যে ভাষার অদক্ষতাকে দূর করে ভাষায় পারদর্শি করে তুলা যায় এই বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে।
আড্ডায় বিশেষ অতিথী হিসেবে নুজুম গ্রুপের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর হাফেজ মাও: তাজুদ্দিন আহমেদ এর আদর্শমূলক বক্তব্য রাখেন এবং উনার সু-মধুর কন্ঠে মনোমুগ্ধকর ইসলামিক সংঙ্গিত পরিবেশন করেন।
বিশেষ অথিতিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাও ছিদ্দিক কারীম (ইমাম ওজারাতুল আওক্বাফ কাতার), হাফেজ মাও: ফোরকান (অনারেবল ডিরেক্টর নুজুম গ্রুপ), নুরুল হুদা মোহন (অনারেবল ডিরক্টর নুজুম গ্রুপ)। জনাব আল-আমিন, জনাব মাশরুর আহম্মেদ। আড্ডায় জনাব হাফিজুর রহমানের কন্ঠে মহাকবি কায়কোবাদের আযান কবিতাটি আবৃত্তি করেন এবং জনাব সি এম হাসান এর কন্ঠে মহাকবির দেশের বাণী কবিতাটি আবৃত্তি করা হয়। আলোচনায় আরও উঠে আসে কায়কোবাদের (১৮৫৭-১৯৫১) জীবন বৃত্তান্ত এবং পানি পথের যুদ্ধে অবলম্বনে শ্রেষ্ঠ রচনা ৩ খন্ডে বিভক্ত ৬০ সর্গের প্রায় ৯০০ পৃষ্ঠার মহাকাব্য “মহাশ্মাশান ” এর বিস্তারিত আলোচনা যা বাংলা প্রকাশিত ১৩৩১ সালে এবং ইংরেজিতে প্রকাশিত ১৯০৪ সালে এবং উনার কাব্য সাধনার মূল উদ্দেশ্য সমূহ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যের অবদানের জন্যে নিখিল ভারত সাহিত্য সংঘ কবি কায়কোবাদ কে “কাব্য ভূষণ”, “বিদ্যা ভূষণ” এবং “সাহিত্য রত্ন” উপাধি দেয়।
পরবর্তীতে সভাপতি জনাব হাবিব উল্ল্যা নুজুম লাল চা সাহিত্য আড্ডার সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপণী বক্তব্য রাখেন।
হাফেজ মাও. তাজুদ্দিন আহমেদ