
আজ শনিবার | ২৮ মে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ২৬ শাওয়াল ১৪৪৩ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৪৩
ফোরসাইডনিউজ২৪.কম, নিউজ ডেস্ক :- বাঙালির ঐতিহ্যবাহী হাটের আমেজ নিয়ে গত ২৩ জুন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নিজের বলার মত একটা গল্প প্ল্যাটফর্মের ইতিহাস রচনাকারী কার্যক্রম”অনলাইন হাট”।
এই প্ল্যাটফর্মটির ফাউন্ডার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ এর যুগান্তকারী পদক্ষেপে আয়োজিত এই অনলাইন হাট এখন থেকে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এবং বিশেষ দিনগুলোকে উপলক্ষ করে পরিচালিত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরো আশা প্রকাশ করেছেন যে প্রতি সপ্তাহের হাট থেকে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা লেনদেন হবে তৈরি করবে অত্যন্ত চমৎকার সম্ভাবনা প্ল্যাটফর্মের উদ্ধোক্তাদের জন্য।
প্লাটফর্মের ফাউন্ডার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ মনে করেন ক্রেতা -বিক্রেতার মধ্যে এক অসাধারণ সংযোগ তৈরি হবে এই উদ্যোগটির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে।প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে নতুনত্ব নিয়ে নিজেদের উপস্থাপন করার সুযোগ পাবেন।এই বিশাল নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে সমর্থ হবেন বলে তার বিশ্বাস।
ঐইদিন অনলাইন হাটবারকে কেন্দ্র করে নিজের বলার মতো একটা গল্প প্ল্যাটফর্মটি ছিলো মুখরিতো।অনেক উৎসাহ উদ্দিপনা কাজ করেছে সবার ভিতর। আবার কেউ কেউ ঈদের উৎসব বা বানিজ্য মেলার সাথে তুলনা করেছেন এই অনলাইন হাটকে,এই অনলাইন হাটকে কেন্দ্র করে অনেকের আগ্রহের কথাও জানালেন তিনি।”নিজের বলার মতো একটা গল্প”প্লাটফর্মের এই অনলাইন হাট উদ্ধোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য ছোট থেকে বড় সকল পন্য সেলের একটি বিশ্বস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হয়ে গড়ে উঠবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার বিখ্যান পন্য সহ সকল ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, অর্গানিক পন্য, ইলেকট্রনিক্স, টিভি, মোবাইল জামা কাপড়, প্রসাধনী সহ শতাধিক আইটেম প্রদর্শিত হয়েছে এই হাটে। গাড়ি পর্যন্ত উঠেছিল এই অনলাইন হাটে।সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলতে থাকে এই অনলাইন হাট। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ও বিশ্বের প্রায় ৫৫ টি দেশে অবস্থানরত সদস্যরা ক্রেতা ও বিক্রেতা হয়ে এসেছিলেন এই অনলাইন হাটে।রিসার্চ এন্ড প্রমোশন টিমের অন্যতম সদস্য সিএম হাসান , প্রতুল পাঠক এর সমন্বয়ে অনলাইন হাট মনিটরিং জন্য সারা দিন কাজ করেছে ৩৫ সদস্যের একটি সুপার এক্টিভ মনিটরিং টিম।
অনলাইন হাটবার সম্পর্কে কথা হয়েছে কয়েকজন ক্রেতা, বিক্রেতা এবং হাটে আসা কিছু মানুষের সাথে। সেই সাথে মনিটরিং টিমের একাধিক সদস্যদের সাথে।তাদের ভাষ্য অনুযায়ী:
জিএম বাহারুল হক এবং এম কে ইসমাইল হুসাইন ঢাকার মিরপুর ও নরসিংদী থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান দি গ্রাজুয়েট বায়িং হাউজ ও পন্য তুলেছিলেন এই হাটে,ডেনিম ও গ্রাভাডিং প্যান্ট বিক্রি ও অর্ডার নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকার মতো জি এম বাহারুল। অপরদিকে মেয়েদের থ্রি পিস ও আম বিক্রি করে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো আয় করেছেন এম কে ইসমাইল। উভয়েরই ব্যাপক আগ্রহ এই অনলাইন হাট নিয়ে।
ফেনী থেকে “বিচরনের” এর ব্যানারে এই হাটে পন্য তুলেছিলেন এর একজন কর্নধার উদ্যোক্তা নুরুন নবী রিয়াজ তিনি বলেন এই হাটে আমি এত সাড়া পেয়েছি যে আমার মনে হয় এই হাট চলতে থাকলে নতুন উদ্যোক্তাদের পন্য বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না। ভালো সেল ও অর্ডারের কথা জানালেন তিনি।।
আফসানা ইয়াসমিন দিবা “ওয়াসি ক্রাফট ও সাবাকা মল” দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাঞ্জাবি, ফতুয়া, মেয়েদের থ্রি পিস, শাড়ি ও বিছানা চাদর সহ বিভিন্ন দেশীয় পণ্য নিয়ে এসেছিলেন অনলাইন হাটে,প্রথম দিন স্বল্প সেল পেলে ও ব্যাপক সাড়া ও অর্ডার পেয়েছেন, লাভ করেছেন পরিচিতি এবং দেখতে পাচ্ছেন সম্ভাবনা। প্ল্যাটফর্মের একজন সিনিয়র দায়িত্বশীল হিসেবে এই অনলাইন হাটের কার্যক্রম অব্যাহত এবং এর ব্র্যান্ডিং এর জন্য চমৎকার একটি নামকরণের পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্ল্যাটফর্মের ফাউন্ডার ইকবাল বাহার জাহিদকে।
কসমেটিকস ও বাচ্চাদের এক্সেসরিজ নিয়ে অনলাইন হাটে নিজের প্রতিষ্ঠান Abira’s & Abira’s Kidzee থেকে এসেছিলেন প্লাটফর্মের আরেক নারী উদ্যোক্তা “আশা মণি” বেশ উৎফুল্ল ও আশাবাদী দেখা গেছে অনলাইন হাট নিয়ে তাকে।
ক্রেতা হিসেবে আসা আফসান আশফিয়া হক ও সুদূর প্রবাসে থাকা মো: আসাদুজামান অনেক বিক্রেতার কাছ থেকে অনলাইন হাটে নিজেদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে অত্যন্ত খুশি। তাদের মতে অন্য কোথাও থেকে কিনতে গেলে ভেজাল পণ্যের একটা বিষয় থাকে কিন্তু নিজের বলার মত একটা গল্প প্ল্যাটফর্মের বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে বিশ্বাসটা শতভাগ নির্বিঘ্নে করা যায়।
অনলাইন হাট মনিটরিং টিমের সদস্য ইমরুল কাউসার সজিব, সাইমুন সালেহীন, মোসতাক আহমেদ মৃধা, শফিউল আজম, হাবিব মুহতাসিম, সোনিয়া আক্তার, দিশা মাহমুদ,জাহাঙ্গীর খান ,ফরিদ মাসুদ, মুহাম্মদ দুলাল ,সাহিদা শারমিন ,এমএন করিম ,ইসমত হাসান,খালেদ ইকবাল সিদ্দিক , তোফায়েল আহমেদ তোহা সহ আরো অনেকেই বলেন এই অনলাইন হাট মনিটরিং করতে এসে সেই শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম, মনে হচ্ছিল বাবার হাত ধরে হাটে ঘুরছি আর নতুন নতুন পন্য দেখছি। তারা বলেন আমরা মনিটরিং টিম সব সময় এক্টিভ ছিলাম। যেখানই কোন অসঙ্গতি দেখেছি সেখানই আমরা ছুটে গিয়েছি এবং সমস্যা সমাধান করেছি। তারা আরো বলেন সব কিছু পর্যাবেক্ষন আমরা যা দেখেছি তা হচ্ছে এখানে কোন ব্যাক্তি বিশেষকে কেন্দ্র করে পন্য কেনা হয়নি যারা ভালো মানের পন্য দিতে পেরেছে তারাই বেশি কাস্টমার টানতে সক্ষম হয়েছে।
অনলাইন হাট সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান ও সেল এনালাইসিসের দায়িত্বে নিয়োজিত রিসার্চ অ্যান্ড প্রোমোশন টিমের সদস্য ফখর উদ্দিন ইমেইল এই কার্যক্রমের বিপুল সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন সারাদিনের হাট পর্যবেক্ষণ যেন বানিজ্য মেলা ও বড় বড় হাটগুলোর কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল।৬৪ জেলা ও ৫৫ টি দেশ থেকে আগত ক্রেতা বিক্রেতার এই মহা মিলন আমাদের প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তাদের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি করবে। এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরো বলেন পৃথিবীর ইতিহাসে এত বড় অনলাইন হাট এর আগে আর কেউ দেখেনি, মনিটরিং টিমের সাথে কাজ করতে ফেরেন তিনি আনন্দিত ও গর্বিত। প্ল্যাটফর্মের ফাউন্ডার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদের নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী সুপার একটিভ এইটিন কে সাথে নিয়ে সবার সাথে সমন্বয় করে ছোটখাটো যে সমস্যাগুলো সামনে আসে তা সুন্দরভাবে সমাধান করে যে উদ্দেশ্য কে নিয়ে এর ফাউন্ডার এই কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা সফল ও সার্থক ভাবে পরিচালনার মাধ্যমে ইকবাল বাহার জাহিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
মঙ্গলবারের অনলাইন হাট নিয়ে রিসার্চ এন্ড প্রমোশন টিমের সদস্য ও মনিটরিং টিমের সমন্বয়ক এর দায়িত্বে থাকা সিএম হাসান খুবই আশাবাদী। তিনি বলেন আমাদের প্রথম হাটবার ১৪শত সেল পোস্ট এসেছে এবং লক্ষাধিক কমেন্ট এসেছে সেই সাথে প্রচুর বেচাকেনা হয়েছে এটা আমাদের জন্য বিশাল অর্জন। তার মতে এই অর্জন ধরে রেখে ৬মাস এই বাজার চলমান রাখতে পারলে আমাদের নতুন কোন উদ্যোক্তা তার পন্য বিক্রি নিয়ে আশাহত হবেন না। তাছাড়া আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিস এখানে পাওয়া যাবে।