
আজ বৃহস্পতিবার | ৩০ জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ৩০ জিলকদ ১৪৪৩ হিজরি | দুপুর ১:৩৪
ফোরসাইড নিউজ২৪.কম প্রবাসি ডেস্ক : কোনো দূতাবাসে যাতে আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাসে সতর্কতা জারি এবং প্রবাসীদের প্রতি সংযত হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি শ্রমিকদের হামলার বিষয়ে ইঙ্গিত করে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আগাম উদ্যোগ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুয়েতের লেসকো কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও করে ভাংচুর করেন। এতে দূতাবাসের কাউন্সিলরসহ তিনজন আহত হন। স্থানীয় পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় বেশকিছু শ্রমিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরই মধ্যে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের কয়েক মাসের বেতন বকেয়া বিষয়ে দেশটির লেসকো কোম্পানির মালিককে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। বৈঠকে ওই কোম্পানি ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেতন পরিশোধ ও আকামা নবায়নসহ সব সমস্যা সমাধানে রাজি হয়। তবে বৈঠক শেষে কোম্পানির মালিকপক্ষ বের হয়ে এলে শ্রমিকদের রোষানলে পড়ে। এ সময় বাংলাদেশি শ্রমিকদের আক্রমণে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলরসহ তিনজন আহত হয়।
এর আগে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও করার আগে ফেসবুকে লাইভ করেন ঘেরাওকারী বাংলাদেশিরা। এসব লাইভে তারা জানান, সাত-আট লাখ টাকা খরচ করে কুয়েতে এসেও ভালো নেই আমরা। আমাদের বসবাসের ব্যারাকে পানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্য নেই। অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির কাছে কোনো বিচার পাচ্ছি না। দয়া করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সুব্যবস্থা করবেন। না হলে আত্মহত্যা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় থাকবে না। লেসকো কোম্পানির জালিয়াতি সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ওরা আমাদের মানুষ হিসেবে গণ্য করছে না। আমাদের আকামা নেই।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার দায়ে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তিন শতাধিক শ্রমিককে। দূতাবাসে হামলাসহ নানা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ কাজে জড়িত থাকার দায়ে কুয়েতের আইন অনুযায়ী তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির সরকার। ভবিষ্যতে যাতে তারা কুয়েতে ঢুকতে না পারেন সে জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের রাখার অনুরোধ করলেও তা গ্রহণ করবে না কুয়েত সরকার।
কুয়েতের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বাংলাদেশ দূতাবাসের তছনছকৃত অংশ দেখে গেছে। সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজও নিয়ে গেছে তারা। দূতাবাসের তরফ থেকে ভাংচুরকৃত অংশগুলো মেরামত করা হচ্ছে।