বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক হিংস্র বাঘ মাশরাফি যে না নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নিয়ে গেছে এক হিমালয়ের উচ্চতায় আজ বেঙ্গল টাইগারদের ইতিহাস সকলের মনের পাতায় গেঁথে আছে কখনও ব্যাটিং করে কখনও তার প্রফেশনাল বোলিং বা তার তীক্ষ্ণ চিন্তায় অধিনায়কত্বের মাধ্যমে নিজে দলটাকে বিজয়ের দিবে নিয়ে গেছে আজ পূর্ণ হলো ২০০ আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ আর আজকে জিতে নিলো ম্যাচ সেরার পুরস্কার । সকলের মনে একটা প্রশ্ন ছিলো রাজনীতি ও ক্রিকেট একসঙ্গে এগিয়ে নিতে পারবেন তো মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ? এমন সংশয়ের খচখচানি দূর করে দিয়েছেন উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বল হাতে নিয়েই। ৩ উইকেট ঝুলিতে ভরে নড়াইল এক্সপ্রেস হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। মাশরাফীর সামনে থেকে দেয়া অসাধারণ নেতৃত্বে ৫ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার পর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন টাইগার অধিনায়ক। পারফরম্যান্সেই দিয়ে দিলেন গত কয়েকদিনে ওঠা অনেক প্রশ্নের জবাব।মাশরাফী অবশ্য এটিকে ‘জবাব’ হিসেবে দেখতে চান না। দেড়যুগ ধরে ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা মাঠের বাইরের ব্যস্ততায় হাওয়া হয়ে যাওয়ার কথা নয়; সেটিই বোঝাতে চাইলেন ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে। ‘জবাব দেয়ার কি আছে? জবাব দেয়ার কিছু নেই। খারাপ পারফরম্যান্স হলে বলতো(খেলায় প্রভাব পড়েছে), এটাই স্বাভাবিক। আসলে জবাব দেয়ার কিছু নেই। ১৮ বছর ধরে খেলছি, সহজে ফোকাস সরার তো কথা না। প্রত্যেকটা মানুষ নিজেকে খুব ভালো করে চেনে। সবাই চেনে কিনা জানি না, আমি আমাকে চিনি। এত সহজে তো ফোকাস সরার কথা না। বিশেষ করে গেল কিছুদিন ধরে এ নিয়েই চেষ্টা করে যাচ্ছি, বলটা যেখানে করতে চাই পারছি কিনা; এটা নিয়ে ফোকাস করে যাচ্ছিলাম, জবাব দেয়ার কিছু নেই।’ জিম্বাবুয়ে সিরিজে পুরোপুরি ফিট ছিলেন না মাশরাফী। বোলিংয়ে স্পষ্ট হয়েছিল তার প্রভাব। ঊরু ও কুঁচকির চোট নিয়েই খেলে গেছেন। এখনও পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি সেটি স্বীকার করলেন অকপটে। সেইসঙ্গে দিলেন একটি দুঃসংবাদও, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছি। আজ ফিটনেস টেস্ট হওয়ার কথা ছিল, আমি চেয়েছি খেলতে।’ ফিটনেস টেস্টে নেতিবাচক কিছু এলে হয়ত খেলাই হত না মাশরাফীর। কিন্তু বোলিং দেখে কে বলবে শারীরিকভাবে এখনও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন রোববারই ২০০তম ওয়ানডে খেলা এ মহাতারকা! ১০ ওভার বোলিং করে ৩০ রান দিয়ে মাশরাফী এদিন ফেরান উইন্ডিজের টপ ও মিডলঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে। ৬০টি ডেলিভারির মধ্যে ডট বল ছিল ৪১টি। এ ডানহাতি পেসারের দশ ওভারে বাউন্ডারি এসেছে মাত্র দুটি। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলে একটি চার ও শেষ ওভারের শেষ বলে একটি ছক্কা। রান আটকে আটকে বোলিং করে যাওয়াতেই এসেছে সফলতা।

200 th ODI Play