
আজ বৃহস্পতিবার | ২৬ মে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ২৪ শাওয়াল ১৪৪৩ হিজরি | দুপুর ১:৫২
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২য় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের কারণে সিরিজে ইতিমধ্যে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে টাইগাররা। যেহেতু গত ম্যাচে টাইগাররা জয় পেয়েছে সেহেতু দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগার একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব কম। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকেই নিশ্চিত বানিয়ে দিলেন প্রধান নির্বাচক মিনজাহুল আবেদিন নান্নু। ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নির্ধারণের জন্য নির্বাচকরা পরের ম্যাচে মানে কালকেও আর নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষায় যাচ্ছেন না। প্রথম দিন যে দল খেলেছে, কাল দ্বিতীয় ম্যাচেও সে দলটিই খেলবে। একাদশে কোনই পরিবর্তন আসছে না-প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু সোমবার রাতে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাইফউদ্দীনকে খেলানোর কথা উঠেছে। তবে অধিনায়ক মাশরাফির বড় আস্থা রুবেলের ওপর। তাই প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও রুবেলই খেলবে। বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ: তামিম, লিটন, ইমরুল, মুশফিক, সাকিব, সৌম্য, মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ, মাশরাফি (অধিনায়ক), রুবেল ও মোস্তাফিজ। আজ অন্যরকম সেঞ্চুরির সামনে বাংলাদেশের ‘বিখ্যাত পাঁচ’ তাদের একসূতোয় বাঁধতে ‘পঞ্চপাণ্ডব’ শব্দটা এখন হরহামেশাই ব্যবহার হয়। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ; বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালি সময়ের এ পঞ্চক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে টাইগার ক্রিকেটকে এনে দিচ্ছেন বহু স্মরণীয় সাফল্য। এবার তারা দাঁড়িয়ে অন্যরকম এক সেঞ্চুরির সামনে। মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যদি তারা সকলেই একাদশে থাকেন, তাহলে একত্রে ১০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অনন্য গৌরবে নাম লেখাবেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশ দল এমন একশটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলবে যাতে এই পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সদস্যই মাঠে নেমেছিলেন। বিশ্বক্রিকেটে কম-বেশি জুটি বাঁধার এমন ঘটনা আছে অন্তত ৬৪টি। কিন্তু পাঁচজনের জুটি বেঁধে এমন মাইলফলক ছোঁয়ার ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিরলই! যেখানে বোর্ড, টিম ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচকরা সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রতি খুব সদয় অনুভূতি প্রদর্শন করেন না বলে কথা আছে! বাংলাদেশের এই বিখ্যাত পাঁচ প্রথমবার জুটি বাঁধেন সেই ২০০৭ সালে। ২০১৮ পর্যন্ত নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে তাদের ক্যারিয়ার। এখনও দলের মূল কাণ্ডারি তারাই। তরুণরা এসে গতি দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু মাঠে ব্যাট-বলের তরী ভাসিয়ে তীরে নোঙর করাতে তাকিয়ে থাকতে হয় মাশরাফী, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর দিকেই। একযুগের যাত্রায় সেঞ্চুরির পথে হাঁটার সময়টাতে যে ৯৯টি ম্যাচে একসঙ্গে মাঠে নেমেছেন এ পাঁচ টাইগার তারকা, তার ৪৭টিতে জয়ীর বেশে মাঠ ছেড়েছেন, ৪৮টি ম্যাচ জয়ে নোঙর ফেলতে পারেননি, আর ৪টি ম্যাচে আসেনি ফল। জয়ের গড় ২৯.৫ শতাংশ। সময়টাতে দল সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েছে ৩৪৫ রানের, সর্বনিম্ন সেখানে ৫৮।