
মহাকাশ
মাওলানা মাহদী হাসান চৌধুলী : মেঘশূন্য ও চন্দ্রশূন্য রাতে অাকাশের দিকে তাকালে দেখা যায়,অাকাশের গ্রহ-নক্ষত্রগুলি যেন একটি অর্ধগোলাকার গোলকের গায়ে লাগানো রয়েছে।অথবা বলা যায় দিগন্তবৃস্তিত কোন ফাঁকা জায়গায় দাড়ালে মনে হয়,অনেকটা দূরে গিয়ে অাসমানটা চারদিকে মাটিতে এসে ঠেকেছে।এটা একটি অর্ধগোলক।এ অর্ধগোলাকার গোলকটি অাসলে একটা বৃহৎ গোলকের উপরের অর্ধাংশ।এ বৃহৎ গোলকটি এর কেন্দ্রে অবস্হিত পর্যবেক্ষকের ভেতর দিয়ে অাকাঁ তল দ্বারা দ্বিধাবিভক্ত।এ গোলকের অপর অর্ধাংশ পর্যবেক্ষকের পায়ের নিচে।এ বিরাট গোলককে বলা হয় খ-গোলক(celestial aphere)। এ বিরাট বিশ্ব ব্রক্ষাণ্ডের তুলনায় পৃথিবীকে একটা বিন্দু হিসাবে ধরা যায়।তাই পৃথিবীকে এই খ
– গোলকের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়। এই কল্পিত খ- গোলকের ব্যাসার্ধ অসীম। সূর্যসহ সকল গ্রহ- নক্ষত্র এ খ- গোলকের ভেতরে পূর্ব হতে পশ্চিমে পরিক্রমন করে।
সূর্য পৃথিবীর তুলনায় তেরলক্ষগুন বড়।সূর্য এত বিরাট এবং বিশাল পরিধি সম্পুর্ণ হওয়া সত্ত্বেও খ- গোলকের তুলনায় খুবই ক্ষুদ্র এবং নগন্য।
অামারা ইতোপূর্বে জেনেছি সূর্য একটি গোলকের মধ্যে পরিক্রমন করে।অার প্রাচীনকাল থেকেই গোলককে ৩৬০ ডিগ্রিতে ভাগ করা হয়। এবং প্রতি ডিগ্রিকে ৬০ মিনিটে, প্রতি মিনিটকে ৬০ সেকেন্ডে ভাগ করা হয়।
এই হিসাব অনুযায়ী সূর্য যে গোলকের ভিতর পরিক্রমন করে সেটাও ৩৬০ ডিগ্রীতে বিভক্ত। ৩৬০ ডিগ্রীর এই গোলকের মধ্যে সূর্যের অায়তন মাত্র ৩২ মিনিট। অর্থাৎ খ- গোলকের ৩৬০ ভাগের এক ভাগ হল এক ডিগ্রী। অার সূর্য এই এক ডিগ্রীরও ৬০ ভাগের ৩২ ভাগ মাত্র। তাই অাকাশ গোলকের বিশালত্বের তুলনায় সূর্য কতটা ছোট তা সহজেই অনুমেয়।
অার এ মহাকাশের তুলনায় মানুষ যে কত ক্ষুদ্র তা বলার অপেক্ষা রাখে না।অাল্লাহ বলেন ঃ তোমাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর নাকি অাকাশ সৃষ্টি, যা তিনি সৃষ্টি করেছেন।